প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

image-not-found

১৯৮৬ খ্রি. একদিন বিকেল বেলা সূর্য তারা যুব সংঘের তৎকালীন সভাপতি মোঃ মোসলেম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাফিজুর রহমান (হাতেম) এর উদ্যোগে এলাকার একটি মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠাকল্পে বাসারচালা বাজার প্রাঙ্গনে সূর্য তারা যুব সংঘের অন্যতম উপদেষ্টা শিক্ষা অনুরাগী জনাব মোঃ খলিলুর রহমান মাস্টার সাহেবের সভাপতিত্বে এক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন জনের প্রচেষ্টায় খন্ড খন্ড আলোচনার প্রেক্ষিতে এলাকার সর্বস্তরের জনগণের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার মোঃ আব্দুল কুদ্দুস মিয়া, মোঃ জহুরুল ইসলাম, মোঃ নুরুজ্জামান সরকার, মোঃ বাদশা মিয়া, মোঃ মনিরুজ্জামান (মনির) প্রমুখ ব্যক্তিবর্গের নিদ্রাহীন পাগলপ্রায় চেষ্টার ফসল হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি ৩রা জানুয়ায়ী ১৯৯৫ খ্রীঃ ভিত্তি প্রস্তুরের মাধ্যমে আলোর মুখ দেখে। প্রতিষ্ঠানটির ভিত্তি প্রস্তুর স্থাপন করেন সর্বজনাব মোঃ জামুদালী বেপারী, আলহাজ মোঃ বুজরক আলী মাতাব্বর, মৌঃ মোঃ জিন্নত আলী নিয়া, মোঃ শুরুর মাহমুদ মাতাব্বর, মোঃ ওমেদ আলী মাতাকার, মোঃ হজরত আলী মাতাকার, মোঃ মোজাফর মন্ডল, মোঃ জয়নাল আবেদীন ফকির, মোঃ নিয়ত আলী মাস্তাকার, মোঃ দেলোয়ার হোসেন মাতাব্বর, মোঃ মারফত আলী মিয়া, মোঃ কায়েম উদ্দিন মাতাব্বর প্রমুখ ব্যক্তিবর্গসহ এলাকার সর্বস্তরের জনগণ।প্রতিষ্ঠানটির সর্ব প্রথম পতাকা উত্তোলন করেন আনুষ্ঠানিকভাবে এলাকার শিক্ষানুরাগী অন্যতম ব্যক্তিত্ব জনাব মোঃ আবুল কাশেম তালুকদার সাহেব। সাড়াসিয়া বাসারচালা উভয় গ্রামে প্রতিষ্ঠানটি স্থাপনের প্রত্যাশা প্রবল আকার ধারণ করায় সমঝোতা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে বাসারচালা গ্রামে স্থাপনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে প্রতিষ্ঠানটির নাম রাখা হয় 'সাড়াসিয়া বাসারচালা উচ্চ বিদ্যালয়' প্রতিষ্ঠাতাদের নাম ও দানের পরিমাণ-মোঃ আকবর আলী মিয়া, পিতা-মৃত- মফিজ উদ্দিন গ্রাম ৮০,০০০/- (আশি হাজার) টাকা। মোঃ জহুরুল ইসলাম, পিতা- আলহাজ মোঃ বুজরক আলী গ্রাম বাসারচালা দানের পরিমাণ ৭০,০০০/-(সত্তর হাজার) টাকা। মোঃ নুরুজ্জামান সরকার, পিতা-মৃত- কায়েম উদ্দিন সরকার গ্রাম বাসারচালা-দানের পরিমাণ ৫০,০০০/-(পঞ্চাশ হাজার) টাকা। মোঃ আঃ কুদ্দুস মিয়া পিতা মোঃ জয়েন উদ্দিন গ্রাম সাড়াসিয়া দানের পরিমাণ- ৭০,০০০/-(সতুর হাজার) টাকা। দাতা মো. জালাল উদ্দিন-পিতা জামুদালী বেপারী গ্রাম বাসারচালা দানের পরিমাণ-৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা মোঃ দুলাল মিয়া-পিতা- মোঃ বুজরক আলী-গ্রাম বাসারচালা দানের পরিমাণ- ও ৩৫ শতাংশ জমি। মো. রমজান আলী-পিতা- নছিম উদ্দীন গ্রাম-বাসারচালা-দানের পরিমাণ-১০০ শতাংশ জমি। মো. আ. সামাদ মিয়া-পিতা-নছিম উদ্দীন-গ্রাম বাসারচালা দানের পরিমাণ-২২ শতাংশ জমি।০৮ শতাংশ জমি। প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে যাঁদের অবদান অনস্বীকার্য মো. হবিবুর রহমান, ডা. মো. মজিবর রহমান, মো. শাহজাহান সরকার, মো. লুৎফর রহমান, মো. তৈয়বর রহমান শিকদার, মো. আবুল কাশেম ভেন্ডার, মো. জাফর ইকবাল, আজিম উদ্দিন মাতাব্বর, মো. ফজলুল হক (নয়ারচালা), মো. হজরত আলী মাতাব্বর (নয়ারচালা) মো. লিয়াকত আলী, মো. শাজাহান বাউল, মো. আ. হালিম বাউল, মো. আকবর হোসেন, মো. জলিল মিয়া, মো. কামাল ফকির, মো. আতোয়ার সর্দার, মো. আফাজ উদ্দিন, মো. খলিলুর রহমান, মো. সুরুজ্জামানসহ এলাকার শ্রমজীবি সকলের শ্রমে, ঘামে, অনুদানে অবহেলিত শিক্ষায় অনগ্রসর এলাকার আলোকবর্তিকা হিসেবে এ প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে যাঁদের অবদান দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। জনাব কৃষিবিদ শওকত মোমেন শাহজাহান, এমপি। জনাব মো. জামাল মিয়া চেয়ারম্যান, কালিয়া, ইউ/পি। জনাব মো. এবাদুল্লাহ মিয়া, সাবেক চেয়ারম্যান। জনাব ডাঃ মো. শাহজাদা চৌধুরী। জনাব মো. শওকত শিকদার। জনাব মো. আজহারুল ইসলাম, এমডি, মনোপ্যাকেজিং লিঃ। জনাব মো. আঃ হালিম সরকার (লাল) সাবেক চেয়ারম্যান।

সভাপতির বাণী

image-not-found

সাড়াসিয়া বাসারচালা উচ্চ বিদ্যালয়টি এলাকার সর্ব স্তরের জন সাধারণের ঐকান্তিক আন্তরিক সর্বাত্নক প্রচেষ্টায় ১৯৯৫ খ্রি. প্রতিষ্ঠিত। এলাকার আলোক বর্তিকা হিসেবে শিক্ষার আলো বিতরণ করে আসছে। ১৯৯৯ খ্রি. নিম্ন মাধ্যমিক ও ২০২২ খ্রি. মাধ্যমিক স্তরে প্রতিষ্ঠানটি এমপিও ভুক্ত হয় । শিক্ষা, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অঙ্গঁনে বিদ্যালয়টি বিশেষ অবদান রেখে চলছে। সহশিক্ষা, বাংলাদেশ স্কাউট ও গার্ল গাইড দলের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে পালিত হয়ে আসছে। বিদ্যালয়টি বিগত কয়েক বৎসর পর্যায়ক্রমে জেএসসি ও এসএসসিতে ১০০% পাশের যোগ্যতা অর্জন করে আসছে। আন্ত: স্কুল উপজেলা পর্যায়ে ও আন্ত ইউনিয় পর্যায়ে বিদ্যালয়ের খেলোয়াড়রা টানা কয়েকবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। এক ঝাঁক তরুণ মেধাবী শিক্ষক ও কর্মচারীরা নৈশকালীন শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার তদারকি করে শিক্ষার মানোন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সুদক্ষ প্রশাসনিক তৎপরতা, শিক্ষকদের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও এলাকার সার্বজনীন সহযোগিতায় বিদ্যালয়টি একদিন শিক্ষাক্ষেত্রে আঞ্চলিক ও জাতীয় পর্যায়ে শিক্ষার মানোন্নয়নে বিশেষ ভুমিকা রাখবে বলে আমার দৃঢ় প্রত্যাশা।

আমি বিদ্যালয়টির উত্তরোত্তর সর্বাঙ্গীন সফলতা কামনা করছি।

প্রধান শিক্ষকের বাণী

image-not-found

শিক্ষা কার্যক্রম শেষে শিক্ষার্থী যেন একজন আদর্শ ব্যাক্তি হিসেবে সমাজ ও রাষ্ট্রে নৈতিকতা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে তার জন্য সকল শিক্ষকদের নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত। শিক্ষার অনগ্রসর-অবহেলিত এলাকার প্রতিষ্ঠিত এ বিদ্যাপিঠ একদিন আঞ্চলিক ও জাতীয় পর্যায়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে- এ প্রত্যাশায় একঝাঁক উদ্যমী শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়ে রাতদিন আমাদের আন্তরিক প্রচেষ্টা। অর্থ নয়, সুনাম-সুখ্যাতি ও আত্ত্বতৃপ্তি নিয়ে শৈশব কালীন শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা তদারকি, শরীর চর্চা, খেলাধুলা সহ সফল সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম, দুর্বল শিক্ষার্থীদের বিশেষ ক্লাস, অনুপস্থিতির কারণ জানতে অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ, অতিদরিদ্র প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের বিশেষ সহায়তা সর্বোপরি শিক্ষকমন্ডলীর আন্তরিক সদিচ্ছা এলাকাকে শিক্ষার একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আমার প্রত্যাশা। জাতীয় ও আঞ্চলিক সরকারী কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, বিত্ত্বশালী শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গ যদি আমাদের অবকাঠামো সহ সার্বিক উন্নয়নে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেয় তবে একদিন এ প্রতিষ্ঠানটি অবশ্যই তার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছাতে পারবে। ইনশা-আল্লাহ।
মো: আব্দুল কুদ্দুস মিয়া
প্রধান শিক্ষক
সাড়াসিয়া বাসার চালা উচ্চ বিদ্যালয়
সখিপুর, টাংগাইল।